মাল্টা কাজের ভিসায় যেতে চাচ্ছেন? কিন্তু, কাজের ভিসায় মাল্টা যেতে কি কি যোগ্যতা লাগে এবং মাল্টা যেতে খরচ কত টাকা হয় জানেন না? আজকের এই ব্লগে আপনাদের সাথে মাল্টা যেতে কি কি যোগ্যতা লাগে এবং মাল্টা যেতে কত টাকা লাগে এসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
আপনি যদি প্রবাসে গিয়ে টাকা উপার্জন করতে চান এবং প্রবাস হিসেব মাল্টাকে বেঁছে নেয়ার ইচ্ছে থাকে, তবে অবশ্যই মাল্টা যাওয়ার উপায়, মাল্টা যেতে কি কি লাগে এবং মাল্টা যেতে কত টাকা লাগে এসব প্রশ্নের উত্তর জেনে রাখা আবশ্যক। তো চলুন, পোস্টের মূল বিষয়ে ফিরে আসা যাক।
পূর্বে যারা মাল্টা যেতে চাইতেন, তাদেরকে বিভিন্ন বাধা-বিপত্তি পেড়িয়ে মাল্টা যেতে হতো। কিন্তু, সম্প্রতি বাংলাদেশে মাল্টার দুতাবাস চালু করা হয়েছে। তাই, এখন থেকে আমাদের দেশের ভাইয়েরা সহজেই বাংলাদেশ থেকেই মাল্টা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। পূর্বের মতো ভারত গিয়ে কিংবা কোনো এজেন্সির সহযোগিতা নিয়ে মাল্টা যেতে হবে না।
আপনিও যদি মাল্টা যেতে চান, তবে বাংলাদেশে অবস্থিত মাল্টার দূতাবাসে মাল্টা কাজের ভিসার জন্য আবেদন করে ভিসা নিয়ে মাল্টা যেতে পারবেন। মাল্টা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে চাইলে আপনাকে একজন নিয়োগকর্তার নিকট আবেদন করে ওয়ার্ক পারমিট নিতে হবে। ওয়ার্ক পারমিট না নেয়া অব্দি আপনি ভিসা করে মাল্টা যেতে পারবেন না।
ওয়ার্ক পারমিট পেয়ে গেলে উক্ত ওয়ার্ক পারমিট দিয়ে ভিসা করে মাল্টা গিয়ে নির্দিষ্ট নিয়োগকর্তার অধীনে কাজ করতে পারবেন। এক নিয়োগকর্তার নিকট থেকে ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে অন্য নিয়োগকর্তার অধীনে কাজ করা যাবে না। মাল্টা যেতে চাইলে ভিএফএস গ্লোবাল এর কাছে আবেদন করতে হবে। এজন্য, VFS Global ১.৫ লক্ষ টাকা থেকে ২ লক্ষ টাকা অব্দি নিয়ে থাকে।
আপনি যদি মাল্টা যেতে চান, তবে আপনার বয়স অবশ্যই ১৮ বছর হতে হবে। এবং সর্বোচ্চ বয়স ৪৫ এর মাঝে হতে হবে। তবেই, মাল্টা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে মাল্টা যেতে পারবেন। তো চলুন, মাল্টা কাজের ভিসা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
মাল্টা কাজের ভিসা নিয়ে গিয়ে টাকা উপার্জন করতে চাইলে শুরুতেই আপনাকে মাল্টা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। মাল্টা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করার ৩টি পদ্ধতি রয়েছে। এগুলো হচ্ছে –
উপরোক্ত এই তিনটি পদ্ধতিতে আপনি মাল্টা কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। যদি আত্মীয়ের রেফারেন্স এ ভিসা নিতে চান, তবে আপনার আত্মীয় সকল কাজ সম্পাদন করে দিবে। আপনাকে তেমন কিছু করতে হবে না।
বেসরকারি এজেন্সির সহযোগিতা নিয়ে মাল্টা কাজের ভিসা আবেদন করতে চাইলে বাংলাদেশে অবস্থিত যেকোনো মাল্টা ভিসা এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করতে হবে। এরপর, তারা যেসব তথ্য চাইবে সেগুলো দিতে হবে। ভিসা আবেদন করার জন্য এজেন্সি ভেদে টাকার পরিমাণ কম বা বেশি হতে পারে। ভিসা এজেন্সির সহযোগিতা নিয়ে ভিসা পেলে আপনি মাল্টা যেতে পারবেন।
যদি সরকারীভাবে মাল্টা যেতে চান, তবে VFS Global ওয়েবসাইট ভিজিট করে ভিসা আবেদন করতে হবে। অথবা, বাংলাদেশে অবস্থিত VFS Global এর দপ্তরে গিয়ে মাল্টা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। মাল্টা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করার জন্য ভিএফএস গ্লোবাল ২ লক্ষ থেকে ৩ লক্ষ টাকা অব্দি নিতে পারে। তবে, অনেকক্ষেত্রেই এই টাকার পরিমাণ কম হয়ে থাকে। সরকারীভাবে মাল্টা গিয়ে টাকা উপার্জন করতে চাইলে এই একটি পদ্ধতিই অনুসরণ করতে পারেন।
মাল্টা যেতে চাইলে আপনার কাজের দক্ষতা থাকতে হবে। আপনি যে কাজ করার জন্য মাল্টা যাবেন, সেই কাজের উপর দক্ষতা থাকলে মাল্টা গিয়ে ভালো পরিমাণে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এছাড়াও, কাজের উপর দক্ষতা ছাড়া মাল্টা ভিসা আবেদন করতে আরও কিছু তথ্য এবং ডকুমেন্ট প্রয়োজন হয়ে থাকে। মাল্টা যেতে কি কি লাগে তার একটি তালিকা নিচে উল্লেখ করে দিয়েছি। চলুন দেখে নেয়া যাক।
এছাড়াও আপনি যদি কোন আত্মীয় বা পরিবারের সদস্যের রেফারেন্সে মাল্টা যেতে চান, তবে তার একটি রেফারেন্স লেটার। যদি নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের জব অফার লেটার পেয়ে থাকেন, তবে সেটি দিতে হবে। উপরোক্ত এসব ডকুমেন্ট হলে আপনি মাল্টা কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং মাল্টা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে মাল্টা যেতে পারবেন।
মাল্টা যেতে সাধারণত ৩-৪ লক্ষ টাকা লেগে থাকে। তবে, আপনি যদি কোনো এজেন্সির সহযোগিতা নিয়ে থাকেন, তবে ৭-৮ লক্ষ টাকা লাগতে পারে। এছাড়াও, আপনি যদি কোনো দালালের সহযোগিতা নিয়ে থাকেন, তবে আরও বেশি টাকা লাগতে পারে। মাল্টা যাওয়ার সময় আপনি কার সহযোগিতা নিচ্ছেন তার উপর নির্ভর করবে আপনার কত টাকা খরচ হবে।
যদি সরকারীভাবে VFS Global এর মাধ্যমে আবেদন করে মাল্টা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিতে পারেন, তবে ৩-৪ লক্ষ টাকার মাঝেই হয়ে যাবে। বেসরকারি এজেন্সির সহযোগিতা নিলে সরকারী ভাবে যাওয়ার থেকে বেশি পরিমাণ টাকা লাগবে। তবে, আনুমানিক ৪-৫ লক্ষ টাকার মাঝেই আপনি মাল্টা কাজের ভিসা নিতে পারবেন।
কাজ করে টাকা কামানোর উদ্দেশ্যে যেহেতু মাল্টা যাওয়া হচ্ছে, তাই যে কাজের চাহিদা সবথেকে বেশি সেই কাজ শিখে মাল্টা গেলে অল্প সময়ে অধিক টাকা উপার্জন করা সম্ভব হবে। মাল্টায় কোন কাজের চাহিদা বেশি এই প্রশ্নটি প্রায় সবার। আপনি যদি মাল্টা গিয়ে বেশি টাকা কামাতে চান তবে, হোটেল ম্যানেজমেন্ট কর্মী, রেস্টুরেন্ট কর্মী, ফুড ডেলিভারি ইত্যাদি কাজ করতে পারেন।
এসব কাজে মাল্টায় অনেক বেশি চাহিদা। পর্যটন সংক্রান্ত কাজগুলো নিতে পারলে অল্প সময়ে বেশি টাকা কামাতে পারবেন। মাল্টায় চাহিদা বেশি এমন কিছু কাজের তালিকা নিচে উল্লেখ করে দিলাম।
উপরোক্ত তালিকায় থাকা কাজগুলো করতে পারলে মাল্টা কাজের ভিসায় গিয়ে অল্প সময়ে ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এছাড়াও, আপনি যে কাজে দক্ষ, সেই কাজটি করেও বেশি পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। কারণ, সবাই দক্ষ শ্রমিক খুঁজে থাকে। কাজে দক্ষতা থাকলে আপনার বেতনও বাড়বে প্রতি বছরে।
আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে মাল্টা কাজের ভিসায় যেতে কি কি লাগে, মাল্টা যেতে কত টাকা লাগে এবং মাল্টা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করার নিয়ম নিয়ে বিস্তারিত আলচনা করেছি। আপনি যদি মাল্টা গিয়ে টাকা উপার্জন করতে চান, তবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে মাল্টা যেতে পারেন। কোনো প্রশ্ন থাকলে FAQ সেকশন দেখতে পারেন।
হ্যাঁ, মাল্টায় কাজ করতে চাইলে ওয়ার্ক পারমিট লাগে। মাল্টা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে গিয়ে কাজ করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
[…] ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে মাল্টা কাজের ভিসায় যেতে কি কি লাগে স্টুডেন্ট ভিসায় ডেনমার্ক যেতে […]